Header Ads

সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ

সড়ক দুর্ঘটনা হলো প্রতিদিনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা। সংবাদপত্রের যে খবর প্রতিদিন দেখতে পাই তা হলো সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের জীবন নিঃশেষ হয়ে যায়।বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ঢাকা চট্টগ্রাম ও ঢাকা আরিচা মহাসড়কে। ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধান সড়কের পাশে হওয়া অনেক শিক্ষার্থীর জীবন অকালে ঝরে পড়ে। প্রাণের বিনিময়ে মিলছে গতিরোধ।17 18 ও 19 জুলাই 2008 সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে যাত্রীবাহী বাস ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে 8 জনের মৃত্যু হয় আহত 40 জনেরও বেশি।17 18 ও 19 জুলাই 2008 সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে যাত্রীবাহী বাস ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে 8 জনের মৃত্যু হয় আহত 40 জনেরও বেশি।পরের দিন কুমিল্লায় পৃথক একটি দুর্ঘটনায় 11 জনের প্রাণহানি ঘটে আহত হয় প্রায় 25 জন।পরের দিন কুমিল্লায় পৃথক একটি দুর্ঘটনায় 11 জনের প্রাণহানি ঘটে আহত হয় প্রায় 25 জন।

কাভার্ড ভ্যান অ্যাম্বুলেন্সে মুখোমুখি একইদিন নিহত হয় তরুণ ডাক্তার দম্পতি।3 দিনে সংঘটিত উল্লেখিত ঘটনা ছাড়াও দেশের অন্যান্য স্থানে আরো দুর্ঘটনা ঘটে এবং প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়ায় 25 আহত হয় 500 জনেরও বেশি।এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার হার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। সূত্র মতে, প্রতি 10 হাজার যানবাহনে বাংলাদেশের প্রাণহানির 169 জন। অথচ বিশ্বের সর্ববৃহৎ গাড়ি প্রস্তুতকারী দেশে প্রতি 10 হাজার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক 9 জন। বাংলাদেশের দুর্ঘটনা আরো একটি ক্ষেএ রেল ক্রসিং। 2008 এর এপ্রিলে টাঙ্গাইলে কালিহাতীর এলেঙ্গা রাজবাড়ী রেল ক্রসিং ট্রেন ও বাসের সংঘর্ষে 17 জন নিহত হয়।এ ধরনের দুর্ঘটনা আরো অনেক ঘটেছে এবং ঘটছে। নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ সড়কের মাত্র 38 কিলোমিটার সড়ক পথের 5 টি রেল ক্রসিং রয়েছে। যার একটিতেও রেলগেট নেই, নেই গেটম্যান, রয়েছে কেবল ছোট্ট একটি সাইনবোর্ড। এই চিত্র বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা সামগ্রিক চিত্র নয়, খন্ড চিত্র।সাম্প্রতিককালে সিরাজগঞ্জে যমুনা ব্রিজের পশ্চিম পাশে একটি রাজনৈতিক সভা হচ্ছিল। সে সভাস্থলটি ছিল রেল লাইন থেকে 100 গজ দূরে। কিন্তু ট্রেন চলন্ত অবস্থায় সভাস্থলে দুর্ঘটনা ঘটে এবং কিছু লোকের জীবন হানী ঘটে।

বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার কারণঃ একটি পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের প্রতি মাসে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় 400 জন মানুষ। এর মধ্যে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন কেউ কেউ গুরুত্ব আহত হয়। বরণ করে নেয় স্থায়ী পঙ্গুত্বের অভিশাপ। যেসব কারণগুলো সড়ক দুর্ঘটনার জন্য প্রধানত দায়ী তা হলঃ বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, ত্রুটিযুক্ত যানবাহন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ চালক ও হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ড্রাইভারদের অজ্ঞতা বা অনীহা, শিথিল ট্রাফিক আইন ব্যবস্থা, জেব্রা ক্রসিং, ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের স্বল্পতা, অপ্রশস্ত রাস্তা, ডিভাইডার যুক্ত চার লেন বিশিষ্ট দ্বিমুখী সড়কের অভাব ইত্যাদি।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিকারের উপায়ঃ বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার অনেক কারণ বিদ্যমান তবে প্রতিকারের উপায় সহজসাধ্য।প্রয়োজন কেবল সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। এ লক্ষ্যেঃ রাস্তাঘাট সংস্কার ও প্রশস্ত করতে হবে, সড়ক অনুযায়ী যানবাহনে গতি নির্ধারণ করে দিতে হবে, ট্রাফিক আইনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে, ত্রুটিযুক্ত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে, ড্রাইভার বিশিষ্ট দ্বিমুখী সড়ক নির্মাণ করতে হবে, ফুটপাত হকারদের দখল মুক্ত করতে হবে,প্রয়োজন অনুযায়ী জেব্রাক্রসিং দিতে হবে, নির্মাণ করতে হবে  ফ্লাইওভার,লাইসেন্সবিহীন চালকদের কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে, পথচারীদের পথ চলার নিয়ম সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, উন্নত সিগনালিং ব্যবস্থা, রেল গেট নির্মাণ এবং হাইওয়ে ট্রাফিক নজরদারি বাড়াতে হবে ।

No comments

Theme images by Petrovich9. Powered by Blogger.