Header Ads

বাংলাদেশের মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তি উদ্ভাবন, যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল মৃতদেহ এবং রক্ত তৈরি করেছে জাপান

মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তি উদ্ভাবন
আমরা জানি যে, বর্তমানে প্রায় সব কিছুই সহজে ব্যবহারে জন্য স্মার্ট প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু এই প্রথমবার মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।আর তাতে আমাদের বাংলাদেশেরই এক দম্পতির সাফল্য লাভ করে।2018 সালের 6 থেকে 9 ডিসেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার গ্যাংণাম শহরে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ার বৃহত্তম উদ্ভাবনী মেলা।এতে বিশ্বের 33 টি দেশের 606 টি উদ্বোধনের মধ্য থেকে বাছাইয়ের পর মাত্র 40 টি উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত করা হয়।এর মধ্যে বাংলাদেশের ঈশ্বরদীর দম্পতি শফিউল আলম তপন ও তার স্ত্রী তানিয়া চৌধুরী  উদ্ভাবিত মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির স্থান লাভ করে।তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিটির নাম স্মার্ট ''অ্যরেটর উইথ অটো ফিডিং সিস্টেম''।পেশায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী এ দম্পতির উদ্ভাবিত পণ্যটি মেলায় বৃত্তি এবং প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন।বাণিজ্যিক বিবেচনায় তার উদ্ভাবিত প্রকল্পটির স্বত্বও রাখবে দক্ষিণ কোরিয়া।বাংলাদেশী তরুণের এ আবিষ্কার দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের মাছ চাষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।2020 সালের মাঝামাঝি যন্ত্রটি পেটেন্ট নিয়ে যাবে।তারপর শুরু হবে বাণিজ্যিক উৎপাদন। এটি অ্যারেটর (মাছের পুকুরে পানি কাটার দুটি প্রপেলার সমন্বয়ে একটি যন্ত্র, যা অক্সিজেন তৈরিতে সাহায্য করে) হিসেবে কাজ করবে সংক্রিয়ভাবে।পাশাপাশি খাদ্য ও অক্সিজেন সরবরাহ এবং পানিতে অ্যামোনিয়ার পরিমাপ, মাছের গতিবিধি সম্পর্কেও ধারণা দিবে।
 যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল মৃতদেহ 
যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার বাসিন্দা সু পটার 2015 সালে 87 বছর বয়সে নিউমোনিয়ায় মারা যান।মৃত্যুর আগে তার ইচ্ছে পএে লিখে যান, তিনি এমন কিছু রেখে যেতে চান, যা সমগ্র মানবজাতির কাজে আসবে। তিনি পরিকল্পনা করেছেন তার দেহকে সংরক্ষণ করা হবে এবং এক ডিজিটাল মৃতদেহ পরিণত করা হবে। এ কথা মাথায় রেখেই সম্পত্তির এর সুরক্ষিত দেহকে 27,000 খণ্ডে বিভাজিত করা হয়। চুলের মধ্যে সূক্ষ্ম এ খণ্ডগুলোর ণুজীব আণুবীক্ষণিক ছবি থ্রি-ডি ডিজিটাল রুপ ধরে রাখা হয়। সংরক্ষণ মূলক চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কাছে আসবে।
রক্ত তৈরি করেছে জাপান
বর্তমানে পৃথিবীতে রক্তের অভাবে মারা যাচ্ছে হাজারো মানুষ।কিন্তু এবার সেই রক্তের অভাব পূরণ করবে জাপানি বিজ্ঞানীরা।রক্ত সংকট গোটা পৃথিবীতে একটা তীব্র সমস্যা। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে প্রতিদিন সারা বিশ্বের যত রক্তের চাহিদা থাকে, সে তুলনায় রক্ত সংগ্রহের পরিমাণ একেবারেই কম। এমন অবস্থা পরীক্ষাগারে কৃত্তিম ভাবে রক্ত তৈরির কাজ শুরু করে জাপানি বিজ্ঞানীরা। আর তারই ফলে সম্পতি জাপানের পরীক্ষাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি হচ্ছে রক্ত, যা অচিরেই গোটা বিশ্বে রক্তে সংকট মেটাবে।

2 comments:

  1. পোষ্টটি খুব ভালো হয়েছে.

    ReplyDelete

Theme images by Petrovich9. Powered by Blogger.